গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। রবিবার (৫ জুন) বেলা ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা করা হবে বলে বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে।
বিইআরসির একজন সদস্য জানান, গড়ে প্রায় ১৭ থেকে ২০ ভাগের মতো দাম বৃদ্ধির চিন্তা করা হচ্ছে। আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে মাসিক বিল ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৮০ অথবা ১১০০ টাকার মতো হতে পারে। এছাড়া অন্যখাতগুলোতে সমন্বয় করে দাম বাড়ানো হবে যাতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ না পড়ে।
গ্যাসের ভর্তুকির বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি, গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর মুনাফার একটি অংশসহ বেশ কিছু জায়গা থেকে ফান্ড নিয়ে এলএনজিতে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেই আমরা গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহি চৌধুরীর সঙ্গে গ্যাসের দামের বিষয়ে দিনভর বৈঠক করেছে বিইআরসির কর্মকর্তারা। এতে আবাসিকে গ্যাসের দাম কম বাড়িয়ে দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বাংলা ট্রিবিউনে ‘রবিবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেইদিন কেন এত তাড়াহুড়ো করে গ্যাসের দাম বাড়ার ঘোষণা জানতে চাইলে এক সদস্য জানিয়েছিলেন, সময়ের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী শুনানির ৯০ দিনের মধ্যে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হয়। আমরা সেই সময়ের খুব কাছাকাছি জায়গায় রয়েছি।
কমিশন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্র ও শনিবারসহ টানা তিনদিন গ্যাসের দাম নির্ধারণ নিয়ে কাজ চলেছে।
গ্যাসের দামের বিষয়ে গত মার্চ মাসে চারদিনের গণশুনানির কথা হয়, কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি বিতরণ মার্জিন বৃদ্ধির আবেদন করে। গণশুনানিতে বিইআরসি কারিগরি কমিটির মতামত বলেছে, ইউনিট (ঘনমিটার) প্রতি বিদ্যমান ২৫ পয়সা চার্জ কোন কোম্পানির প্রয়োজনীয়তা নেই। ৬ বিতরণ কোম্পানির মধ্যে কর্ণফুলীর কমানো আর অন্যদের বিতরণ মার্জিন বাতিলের সুপারিশ করে।
কমিশনের একজন সদস্য জানান, কোম্পানিগুলো ১১৭ ভাগ বললেও আমরা ১০০ ভাগ বাদ রেখেই চিন্তা করছি।