কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখীতে পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে উপজেলার চাঁদখানা ও বাহাগিলি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ওই ঝড় বয়ে যায়। এ সময় ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানায়, ৮ থেকে ১০ মিনিটের ঝড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক কাচা ও আধা পাকা ঘরের ক্ষতি হয়েছে।
ঘরের ওপরে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছ। পাশপাশি মাঠে থাকা পাকা ধান, ভুট্টা ও কাচা মরিচ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চাঁদখানা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা সরঞ্জাবাড়ী, নগরবন্দ ও বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি কারবালার ডাঙ্গা গ্রামের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা জানান তারা।
চাঁদখানা ইউনিয়নের নগরবন্দ গ্রামের আমীর আলী (৪০) জানান, মাত্র ১০ মিনিটের ঝড়ে অসংখ্য আধাপাকা ও কাচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে ও উপরে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা।
kalerkantho
বাহাগিলি ইউনিয়নের কারবালার ডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পের রুবেল হোসেন (৪৫) আমেনা বেগম (৪০) বলেন, ওই ঝড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আধাপাকা একটি ঘরের চাল উড়ে যায়। এ সময় সাত থেকে আটটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। ’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা আবুল হাসনাত সরকার বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা চাওয়া হয়েছে। ’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর ই আলম সিদ্দিকী বললেন, ‘উপজেলার নদী প্রবন এলাকা দিয়ে শনিবার রাতে ওই ঝড় বয়ে গেছে।