বিরামপুর উপজেলার কাটলা-পাটনচড়া আঞ্চলিক সড়কের একটি খালের ওপর সেতুর মাঝে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে সেতুর দিয়ে মানুষ ও যান চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুই মাস ধরে সেতুটির মাঝে ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাতের অন্ধকারে এই সেতুটি চলাচল করা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
দ্রুত এর সংস্কার না করলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার ঘটতে পারে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা অফিস বলছে, সেতুটি নব্বই দশকে তৈরি। ইতোমধ্যে ওই সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাটনচড়া বাজারের পূর্বপাশে সেতুটির অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে এটির অবস্থান। সেতুর পূর্ব এবং পশ্চিম অংশে নতুন করে সড়ক পাকাকরণের কাজ চলমান রয়েছে। সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ইট ও মাটিবোঝাই ট্রাক, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, পিকআপ, ভ্যানসহ মানুষ চলাচল করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাঙা সেতু দিয়ে পাটনচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিয়ার মামুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিয়ারমামুদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্থানীয় প্রায় ২০ হাজার লোক এই সড়কটি ব্যবহার করেন। এছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র সদস্যদের শহরে আসার অন্যতম সড়ক এটি।
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল মিয়া বলেন, প্রায় দু’মাস ধরে সেতুটির মাঝের অংশে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ছোট-বড় ট্রাকসহ এই সেতুটি দিয়া ভারী যান চলাচল করে। যেকোনো সময় এই সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে। আগের কাঁচা রাস্তাটি পাকা হলেও নতুন করে সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে না। এতে পথচারীরা অনেকটা ঝুঁকিতে রয়েছেন।
মশিউর আলম নামের আরেকজন বলেন, এই সেতু দিয়ে এলাকার ছোট ছেলে-মেয়েসহ সবাই যাতায়াত করেন। সেতুটি দ্রুত সংস্কার না হলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় কাটলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইউনুস আলী বলেন, মাঝের অংশে ভেঙে যাওয়া সেতুটি অনেক আগে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুতে মাঝের অংশে গর্তের বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বিরামপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান সরদার বলেন, কাটলা-পাটনচড়া বাজারের আঞ্চলিক সড়কের ওপর সেতুটি মাঝের অংশ ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমরা ওই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।