আচমকা দল থেকে সরে গেলে রণ পরিকল্পনাই বদলে যায় বাংলাদেশ দলের। আরো নির্দিষ্ট করে বললে একাদশের ব্যালান্সটাই গোলমেলে হয়ে যায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দল ঘোষণার আগে মেহেদী হাসান মিরাজের পর সাকিবের কভিড পজিটিভি হওয়াটা আরো জোর ধাক্কা ছিল। গতকাল সেটি নেগেটিভ হলেও টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় খুব পজিটিভ প্রভাব ফেলেনি।
সাকিবের ফিটনেস নিয়ে যে রয়েছে ঘোর সংশয়। আজ ফিটনেস টেস্টে উতরাতে পারলেই চট্টগ্রাম টেস্ট খেলা হবে সাকিবের।
গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব। তবে এই আনন্দ সংবাদ খুব বেশি আলোড়িত করেনি বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে, ‘ওর ফিটনেস টেস্ট করাতে হবে। কভিড থেকে সেরে উঠেছে মাত্র। তা ছাড়া খুব বেশি ক্রিকেট খেলেনি। আগামীকাল (আজ) ওকে দেখব। দু-তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় হলো ও ব্যাটিং-বোলিং করেনি। হঠাৎ এসে পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ খেলা কঠিন। পারিপার্শ্বিক অনেক কিছু নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে। ’
কভিডের জের কত দূর কী, তার অনেকটা ডমিঙ্গো নিজেও জানেন। গত মাসে দলের সঙ্গে নিজের শহর পোর্ট এলিজাবেথে গিয়েই তো কভিডে শয্যা নিয়েছিলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। তা ছাড়া চট্টগ্রামের ভাপসা গরমের ক্লান্তি আর ব্যাট-বলের অনভ্যস্ততার কারণে অর্ধেক ফিট সাকিবকে নিয়েও ঝুঁকি নিতে রাজি নন ডমিঙ্গো, ‘আমি জানি কভিড কতটা খারাপ অভিজ্ঞতা। এটা টি-টোয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে ম্যাচ নয়। এখানে ছয় ঘণ্টা মাঠে থাকতে হয়। অনেক সময় পুরো পাঁচ দিনই এমন ঘটে। সাকিব সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। কিন্তু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, সাকিব যেন নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার সুযোগ পায়। এক দিনে অন্তত ১৫ ওভার বোলিং ও চার ঘণ্টা ব্যাটিং করার মতো ফিটনেস থাকতে হবে। ’ ফিটনেস টেস্টে পূর্ণ নম্বর পেলেই শুধু সাকিবকে খেলানো হবে বলে জানিয়েছেন ডমিঙ্গো, ‘যে কেউ ফুল ফিট সাকিবকে দলে পেতে চাইবে।