কানসাই আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ওসাকার একটি কমিনিটি সেন্টারে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। জাপানের কানসাই আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাহদাত মোহাম্মদ সায়েমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে কানসাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো হারুণ অর রশিদ বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আলোচনার সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে বক্তব্য রাখেন ইতিহাসবিদ বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম। তিনি মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান ও ৭০ সালের নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ।
একদিনের ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। এর জন্য ক্ষেত্র তৈরি করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বাংলাদেশের মানুষ অর্থনীতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও চাকরিসহ সব ক্ষেত্রেই বঞ্চিত-নিপীড়িত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের শোষণের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিত্ব ছেড়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন বলেই ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে জানানোর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ‘সোনার বাংলার’ বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ অনলাইনে বক্তৃতায় জাতির জনক ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে জাপান প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।
কানসাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রকৌশলী মাসুদুল হাসান তার বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি সকল বিতর্কের উর্ধ্বে।
কানসাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বজলুল রশিদ হিরা তার আলোচনায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। প্রবাসীদের অবদান নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয় ।
কানসাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস-স্বাধীনতার ইতিহাস।
জাতির জনক ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সভাপতি আবু সাহদাত মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ১৯৭১ সালে চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের পুরোধা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একের পর এক মাইলফলক অর্জন এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে মহিমান্বিত করেছে।