শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখোমুখি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর এই প্রথম বিশ্বের দুই পরাশক্তি দেশের প্রধান ভিডিওকলে মুখোমুখি কথা বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ৯টা ৩ মিনিটে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে টেলিফোন করেন বাইডেন। ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট ধরে চলে তাদের ভিডিও কল। সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে এই দুই নেতা কথা শেষ করেন বলে হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে শি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ব্যক্তি তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা দিয়ে আছে। তাইওয়ানের ইস্যুটি যদি সঠিকভাবে পরিচালনা করা না যায়, তবে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপর বিধ্বংসী প্রভাব পড়বে।
বাইডেনের বরাতে হোয়াইট হাউজ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
চীন স্ব-শাসিত অঞ্চল তাইওয়ান। এটিকে সব সময় নিজেদের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হিসেবে দাবি করে আসছে বেইজিং। কিন্তু নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখে তাইওয়ান সরকার। তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। কিন্তু তাইপের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই ভিডিও কথোপকথনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন।
রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে জিনপিং বলেছেন, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক সামরিক সংঘাতের পর্যায়ে যেতে পারে না। দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মাধ্যমে কারও স্বার্থ হাসিল হয় না।