দাবি করছে, খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং তারেক জিয়া শিশু মুক্তিযোদ্ধা। এই মিথ্যাচার করে তারা নিজেদের দোষ ঢাকতে চায় বলে দাবি করেছেন মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুজিব সরকারের আওতায় যুদ্ধ করতে চাননি। পাকিস্তানের সঙ্গে আঁতাত করে খুনি মোশতাকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলেন।
মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ ঢাকা জেলা পশ্চিম অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শনিবার মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে প্রায় আড়াই হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার এতে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মিলনমেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলম দস্তগীর গাজী, দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুল রহমান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন, সংসদ সদস্য শাহাজাহান খান, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী ২৬ মার্চ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ডিজিটাল পরিচয়পত্র ও সনদ তুলে দেওয়া হবে। আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে সব মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়পত্র ও সনদ পাবেন। ইতিমধ্যে ৩০ হাজার অসহায় মুক্তিযোদ্ধাকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সকল স্মৃতি রক্ষা করা হবে। বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কুৎসা রটিয়ে বিতর্কিত করার চেষ্টা হয়েছে। শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এখনো মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা বসে নেই। বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।
মিলনমেলা উপলক্ষে প্রকাশ করা হয় ‘জয় বাংলা’ নামে একটি স্মারক পত্রিকা।