স্বাগতিকদের আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। ইনজুরির কারণে প্রথম ম্যাচে খেলতে না পারা এই উইকেটকিপার-ব্যাটারের দ্বিতীয় টি ২০তে খেলতে আর কোনো বাধা নেই। ঐচ্ছিক অনুশীলনে কাল তাকে উৎফুল্ল দেখা গেল।
দ্বিতীয় ম্যাচও মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বেলা ৩টায়।
দারুণ জয়ের পর বাংলাদেশ দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনে ছিলেন একাদশের বাইরে থাকা বেশিরভাগ ক্রিকেটার। তাসকিন আহমেদ, শহিদুল ইসলামরা নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন বোলিংয়ে। মুশফিক দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করেছেন। আগের ম্যাচে অভিষিক্ত মুনিম শাহরিয়ারও ঘাম ঝরিয়েছেন।
মুশফিক একাদশে ফিরলে বাদ যেতে পারেন নাঈম শেখ। নড়বড়ে অবস্থা তার। একাদশে আর কোনো পরিবর্তনের সুযোগ নেই বললেই চলে। শেষ ম্যাচে জয় পেতে লিটনের সঙ্গে অন্যদের কাছ থেকেও ভালো কিছুর প্রত্যাশা টিম ম্যানেজমেন্টের।
এই ম্যাচে একাদশে থাকলে মুশফিকুর রহিম একটি মাইলফলক স্পর্শ করবেন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে একশ টি ২০ ম্যাচ খেলবেন তিনি।
প্রথম ম্যাচের উইকেটে সবার জন্যই সুবিধা ছিল। সেখানে দাপট দেখিয়েছেন স্পিনাররা। দুদলের অধিনায়কই জানিয়েছিলেন, ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট ছিল। আজকের উইকেটও প্রায় একই।
আফগানিস্তান শেষ ম্যাচে একজন স্পিনার কম খেলাতে পারে। তাদের স্পিনারদের সহজে খেলতে পারছেন একমাত্র লিটন। বাংলাদেশের বাঁ-হাতিদের স্পিন ও পেস আক্রমণ প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের ধসিয়ে দিয়েছে।
বিশেষ করে নাসুম আহমেদের দুর্দান্ত বোলিং তাদের টপঅর্ডার পড়তেই পারেনি। বোলিং ইউনিটের কাছ থেকে আজও সেরাটার অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ জানালেন, কাউকে বিশ্রাম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে দল। তিনি বলেন, ‘দুই ম্যাচের সিরিজ আমাদের জিততেই হবে। তাই আমরা কাউকে বিশ্রাম দেব না। সেরা একাদশই খেলাব।’
আগের ম্যাচ জিতে আফগানিস্তানকে টপকে বাংলাদেশ উঠে গেছে আইসিসি দলীয় টি ২০ র্যাংকিংয়ের আটে। মাহমুদউল্লাহদের রেটিং পয়েন্ট ২৩২। আফগানিস্তানের ২৩০। আজ হারলে বাংলাদেশ আবার আফগানিস্তানের নিচে নেমে যাবে। জিতলে আট নম্বরে অবস্থান আরও পোক্ত হবে।
একই সঙ্গে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি ২০ সিরিজ জয় হবে বাংলাদেশের। এর আগে ২০১৮ সালে ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। বাকি ম্যাচগুলোতে দুদল মুখোমুখি হয়েছে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে।