রাজধানী লিসবনে রাশিয়ান দূতাবাসে সম্মুখে পর্তুগালে বসবাসরত ইউক্রেনের নাগরিকরা পুতিনের অনৈতিক যুদ্ধের বিরুদ্ধে রাশিয়ান দূতাবাসের সামনে তাদের জাতীয় পতাকা ও নানা প্রতিবাদী স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের নাগরিক প্রতিবাদের ঝড় তুলেন। কান্নাজড়িত স্লোগানে অসংখ্য পুলিশ প্রহরায় কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝে বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের কাছে ঘেষতে না পারলেও অদূরে কান্নাজড়িত ও ক্ষোভের স্লোগানে সমাবেশস্থল প্রকম্পিত করে তোলেন।
রাজধানী লিসবনের মিউনিসিপালিটি চত্বর এবং বিশেষ স্থাপনায় ইউক্রেনের পতাকা রঙে আলোকিত করা হয়, পর্তুগালে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইনা অনিবেটসসহ রাজধানীর লিসবনের নগরপিতা কারলোস মোয়েদা একই স্থলে আয়োজিত সমাবেশে যোগদান করেন। তিনি বলেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণ এটি ভ্লাদিমির পুতিনের একটি অনৈতিক কাজ, রাজধানী লিসবন কিয়েভের সাথে আছে।
ইউক্রেনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন তারা। একই সাথে ইউক্রেনের জনগণকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা।
পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তোনিও কস্তাও ইতোমধ্যে ইউক্রেনের জনগণের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন তিনি ইউক্রেনের সরকারের পাশে থাকবেন।
পর্তুগালে প্রায় ২০ হাজার ইউক্রেনের নাগরিক রয়েছেন। তারা তাদের স্বজনদের দুশ্চিন্তায় ও সার্বভৌমত্বের উপর হামলায় উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন।