দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক কিছু ‘অ্যাডজাস্ট’ করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় এমপিদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিন সংসদে মহাসড়ক বিল, ২০২১ পাসের সময় সড়কে তীব্র অরাজকতা, অব্যবস্থাপনা ও প্রাণহানি বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিষ্কারভাবে একটি সত্য কথা বলতে চাই। এখানে অনেক সমস্যা আছে। যখন চেয়ারে বসবেন, অনেক কিছু মোকাবিলা করতে হয়। একটি চ্যালেঞ্জিং জব। এখানে আমরা কিছু কিছু বিষয় অ্যাডজাস্ট করি।
এর আগে বিলটির ওপর আলোচনাকালে বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা তার বক্তব্যে সংসদে প্রণীত সড়ক পরিবহণ বিল, ২০১৮’তে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের চাপে সংশোধন করে শাস্তি কমানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি এই সংশোধনীর উদ্যোগকে ছাত্রদের সঙ্গে প্রতারণা বলেও মন্তব্য করেন।
জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সংসদে যেটা বলা হয়েছে তা মোটেও ঠিক নয়। আপনি আইনটির সংশোধিত রূপটি এখনও দেখেননি। এটা সংসদে আসেনি, ওয়েবসাইটে আছে। আইন শাখা এটা ইতোমধ্যে ভেটিং করেছে। তারপরও এটি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আমরা মতামত নিচ্ছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই এই আইনে সাজার শৈথিল্য বা কঠোরতা কোনোভাবেই শিথিল করা হয়নি। কোনো সাজা কমানো হয়নি। আইনের যে কঠোরতা, আইনের যে স্প্রিরিট অরিজিনাল আইনে যা ছিল সেটাই আছে। সেটাই থাকবে।
‘শুধু ভাষাগত ও প্রতি শব্দের বিষয় এবং প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনটিকে আমরা যুযোপযোগী করেছি। এ ছাড়া, অন্য কিছু এখানে নেই। এখানে সাজা কমিয়ে কাটছাঁট করে কারো সঙ্গে প্রতারণা করিনি। জনবান্ধব শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে না। এই সরকার জনস্বার্থেই কাজ করে।’
তিনি আরও বলেন, সড়কের দুর্ঘটনা বন্ধ শুধু সরকারের কাজ নয়। সবার সহযোগিতা দরকার। সাধারণরা আইন মানলেও আপনি ভিআইপি হয়ে রং সাইডে যেতে চান। সেখানে কী সড়কের শৃঙ্খলা থাকবে?
‘মা শিশুকে কোলে নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে আইল্যান্ড ক্রস করছে। মোবাইল ফোন কানে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। দুর্ঘটনা হবে না? এ জন্য কী শুধু চালকরা দায়ী? বেপরোয়া ড্রাইভিং অবশ্যই দায়ী— আমি সেটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমরা জনগণ যারা রাস্তা ব্যবহার করি তারা সচেতন না। শুধু চালক নয়, পথচারীরাও বেপারোয়া হয়ে যায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তায় শৃঙ্খলার জন্য বিল আনা হয়েছে।