১ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ ও ৯টি পৌরসভায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম।
তৃতীয় ধাপে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৫৬৯ জন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১০০ জন, সংরক্ষিত সদস্য ১৩২, সাধারণ আসনের সদস্য ৩৩৭ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে সারাদেশে ৫০ হাজার ১৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তৃতীয় ধাপে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ১০০৭টি। বিভিন্ন কারণে স্থগিত হয়েছে ৭টি ইউপির ভোট।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তথ্য, তৃতীয় ধাপের এই এক হাজার ইউপিতে মোট ভোটার দুই কোটি এক লাখ ৪৯ হাজার ২৭৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৫৩০ এবং পরুষ ভোটার এক কোটি দুই লাখ ১৫ হাজার ৪২৩ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ১৯ জন ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চেয়ারম্যান পদে চার হাজার ৪০৯ জন, সদস্য পদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১১ হাজার ১০৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৪ হাজার ৬৩২ জন।
এরই মধ্যে প্রথম ধাপে ৩৬৯টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করেছে ইসি। দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৮টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ হয় গত ১১ই নভেম্বর। ২৮শে নভেম্বর তৃতীয় ধাপের এক হাজার ইউপিতে ভোটের পর চতুর্থ ধাপে ৮৪৩টি ইউপির ভোট হবে আগামী ২৬শে জানুয়ারি। আর পঞ্চম ধাপের নির্বাচনী তফসিল আজ শনিবার ঘোষণা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, দেশে চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে এবার সাড়ে চার হাজার ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকিগুলোতে মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন আটকে আছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ৯ বার ইউপির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৩ সালে প্রথম এবং ২০১৬ সালে নবম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
যে ৯ পৌরসভায় ভোট : লক্ষ্মীপুর সদর, পাবনার বেড়া, নোয়াখালীর সেনবাগ, রংপুরের পীরগঞ্জ, পটুয়াখালীর গলাচিপা, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও নীলফামারী সদর পৌরসভা।