সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার আশপাশের লোকেরা সব বিএনপির ও পরিবারের। স্লো পয়জনিং যদি করে থাকে তাহলে পাশের লোকেরাই করতে পারে। এখানে আওয়ামী লীগকে জড়াচ্ছেন কেন? শেখ হাসিনা কেন হুকুমের আসামি হবেন?
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়াকে আপনারা মাইনাস করার জন্য স্লো পয়জনিং করছেন কিনা বা সেই রকম কিছু করবেন বলেই কি ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপাতে আওয়ামী লীগের ওপর, শেখ হাসিনার ওপর দোষ চাপিয়ে যাচ্ছেন?
শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন- খালেদা জিয়াকে নাকি স্লো পয়জনিং করা হচ্ছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, দণ্ডপ্রাপ্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আজকে যে সুবিধা গ্রহণ করছেন খালেদা জিয়া, এটা প্রধানমন্ত্রীর উদারতার কারণে। তার পাশে থাকেন আপনারা, ফখরুল সাহেবরা। তাকে যে খাওয়ায় সে পরিবারেরই লোক। তার আশেপাশে সর্বক্ষণ ঘোরাফেরা করে বিএনপির লোকেরা। আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের কেউ তার পাশে থাকে না। তার ব্যক্তিগত পছন্দের চিকিৎসকরাই চিকিৎসা দিচ্ছেন। ফলে হুকুমের আসামি শেখ হাসিনা হবে না, হলে সেটা ফখরুল সাহেব আপনারা হবেন।
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য এখন এত মায়াকান্না কাঁদেন। কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করেন। তার জন্য দেখবার মতো কার্যকর ও অর্থবহ একটা মিছিল রাজপথে করার দুঃসাহস আপনাদের ছিল না। এটা দেখাতে পারেননি। কোন মুখে তার জন্য মায়াকান্না কাঁদছেন, লজ্জা করে না।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক ও আফজাল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খানম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, কৃষি সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।