সদর উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. খোরশেদ আলম টিটু (৩২) নামের এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত খোরশেদ আলম উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের কানাই নগর গ্রামের তছির আহম্মেদের ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ধনিয়া নাছির মাঝি ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের চাচাতো ভাই মো. জিসান জানান, শুক্রবার সকালে দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু তাঁর কর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ভোলা সদর থেকে মদনপুর ইউনিয়নে যান। তাঁর সাথে ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম টিটুও মদনপুরে যান। তারা সেখান থেকে দুপুরে খাবার খেয়ে মদনপুর চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নুসহ যাত্রীবাহী ট্রলারে যোগে ভোলায় রওনা দেন। ট্রলারটি নাঝির মাঝি ঘাটের কাছাকাছি আসলে পিছন দিক থেকে একটি স্পিডবোটে ৮-১০জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে ট্রলার থাকা মানুষজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় ট্রলারের মাঝি ট্রলারটি উল্টোদিকে ঘুরিয়ে স্পিডবোটকে ধাক্কা দিলে বোটটি উল্টে যায়। এ অবস্থায় সন্ত্রাসীরা নদী পড়ে গিয়ে পানির মধ্য থেকেই ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। এতে ট্রলারে থাকা খোরশেদ আলম টিটুর মাথায় গুলি লাগলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে ট্রলারটি ঘাটে আসলে আহত খোরশেদ আলম টিটুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত পরিবারের দাবি, মদনপুর ইউনিয়নের পরাজিত প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন সকেট তাঁর ভাগিনা নিরবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিজয়ী প্রার্থী নাছির উদ্দিন নান্নুকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করেছে। তাঁরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
ভোলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিক্যাল অফিসার ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে আনার পূর্বেই গুলিবৃদ্ধ খোরশেদ আলমের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কপালে গুলির চিহ্ন রয়েছে এবং চোখ ফুলা ছিলো।’
এ ব্যাপারে পরাজতি প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন সকেটকে একাধিকবার তাঁর মোবাইলে ফোন করে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।