সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায়, আওয়ামী লীগ (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর সমর্থকদের ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে নৌকার বিজয়ী প্রার্থী জামাল হোসাইনের সমর্থকরা তিনটি গ্রামে এ হামলা- ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছেন। এতে ৫০টি বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন অভিযোগ এনেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসাইন। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার ওই ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামাল হোসাইন জয় লাভ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তুলাসার ইউপির গুড়িপাড়া, বাইশরশি, দক্ষিণ গোয়ালদি গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে হামলা করা হয়। আওয়ামী লীগের বিজয়ী চেয়ারম্যান জামাল হোসাইনের সমর্থকরা হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর যাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলামের সমর্থক। হামলা করার সময় বিভিন্ন বাড়ির সামনে অন্তত শতাধিক ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ককটেল বিস্ফোরণের কারণে গ্রামগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
গুড়িপাড়ায় হামলার শিকার জুই আক্তার বলেন, জহন সকাল ৭টা বাজে তহন বোমার শব্দে আমার সন্তানের ঘুম ভাইঙ্গা যায়। আমাগো বাড়ি ঘর কোবাইতাছে বোমা মারতাছে। তখন খালি আল্লারে ডাকছি।
জাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, আমার ৫টি ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোট কেটে নেওয়া হয়েছে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর আমাকে যারা সমর্থন দিয়েছে তাদের এলাকা ছাড়া করা হচ্ছে। বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও পুলিশের সহযোগিতা পাচ্ছি না।
জানতে চাইলে তুলাসার ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জামাল হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সর্মথকরা আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করেছে। এতে আমার সর্মথকরা অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ কারণে কিছু কর্মী উত্তেজিত হয়ে দুই-একটি জায়গায় হামলা করেছে। খবর পেয়ে আমি সাথে সাথেই পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, সাথে-সাথেই পুলিশ তুলাসারে বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের খবর পেয়ে ছুটে যায়। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।