জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া পুনর্র্নিধারণ করা প্রয়োজন থাকলেও সরকার বরাবরের মতো পরিবহন-লঞ্চ মালিক ও তাদের সিন্ডিকেটদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ভাড়া বৃদ্ধি করে জনগনের কাঁধে বোঝা চাপিয়ে দিল বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সরকারও জিতলো পরিবহন মালিকরাও জিতলো, মাঝখানে ঠকলো হতভাগা জনগণ। এই ভাড়া বৃদ্ধি জনগনের সাধে চরম নিষ্ঠুরতা।
সোমবার (৮নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, সরকার অবৈধভাবে জনগনের স্বার্থ বিরোধী ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। এই অজুহাতে বাস-ট্রাক ও লঞ্চের মালিকেরা ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহন ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি করে ডিজেল চালিত যানবাহনের পাশাপাশি সিএনজি, অকটেন ও পেট্রোল চালিতসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। জ্বালানী তেলের মূল্য২৩% বাড়লেও ভাড়া বেড়েছে লঞ্চের ৩১% ও গণপরিবহনের ২৬%। যা লুটেরাদের পক্ষে সরকারের অবস্থানকেই প্রমান করে।
নেতৃদ্বয় বলেন, জনগণের কোনো দায়-দায়িত্ব নিচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার রাতের অন্ধকারে ডিজেল-কেরাসিন তেল-এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। জনগনের স্বার্থ চিন্তা না করে গণপরিবহন ও রঞ্চের ভাড়াও বৃদ্ধি করেছে। দেশে যখন করোনা মহামারি চলছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে, জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে দাম বৃদ্ধি করা মরা উপর খাড়ার ঘাঁ’র সামিল।
তারা আরো বলেন, ইতিমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলছে। এ মুহূর্তে তেলের ও এলপিজি’র মূল্যবৃদ্ধি এবং গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকাকে আরো সংকটের মধ্যে নিয়ে যাবে। দেশের অধিকাংশ গণপরিবহন যেখানে গ্যাস চালিতে সেখানে ভাড়াবৃদ্ধি কতটা যুক্তিযুক্ত ?
নেতৃদ্বয় বলেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির আঘাত পড়বে দেশের সাধারণ মেহনতি মানুষের উপরে। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাটের আর্থিক দায় জনগণের কাধে চাপাতেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি।
তারা করোনা পরিস্থিতিতে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের সাধারন মানুষের কথা ভেবে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করা উচিত।