রাজশাহী থেকে উঠে আসা নিম্ন ঘরের মেয়ে মোছাঃ শাকিলা বেগম ওরফে প্রীতি নামেই নিজেকে পরিচয় দিতে দেখা যায় এই মেয়েকে। তাকে অনেকেই কর্লগাল হিসেবেই চিনেন। তার মূল পেশা দেহ ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেল বার এ গিয়ে বড় বড় ব্যবসায়ীদের পটিয়ে বাসা বাড়ীতে নিয়ে এসে ফিটিং দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই মেয়ের নামে। কয়েকশতাধিক প্রেম ছাড়াও একাধিক বিয়েও করেছেন এই মেয়েটি।
এছাড়াও এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা আনার সময় পুলিশের কাছে হাতে নাতে ধরা পড়লে পুলিশ বাদী হয়েই পৃথক পৃথক তার নামে দুইটি মামলাও করেন। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে চলমান রয়েছে। এমনটি জানান ফরিদপুর ব্যবসায়ী ফিরোজ নামের একজন।
এই ব্যবসায়ী জানান, ‘এই মেয়ের সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর আমাকে বিভিন্ন ছবি দিয়ে ফিটিং দিয়ে আমার থেকে সোনার চেইন আর তিন লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন। এই মেয়েটির কাজ হলো ফেসবুকের ইনবক্সে ভিডিও কল করে উলঙ্গ ছবি দিয়েই ব্লাক মেইল করেই এই কাজগুলি করতে দেখা যায়।’ তিনি আরও জানান, ‘না হলে এই মেয়েটি কোন কিছু না করেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে বিলাশ বহুলভাবে থাকে কেমনে! ওর নামে ইতিমধ্যে একাধিক ছিনতায়ের মামলা প্রক্রিয়াধীন থাকলেও এই ব্যবসায়ী ফিরোজকে ডিবিতে আইসিটি মামলার কথাও জানা যায়।’
অন্যদিকে এক বাসা থেকে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের স্বর্ণঅলংকার নিয়ে পালিয়ে গেলে তাকে ডিবি পুলিশ কয়েক দফা খুঁজলেও মোছাঃ শাকিলা বেগম ওরফে প্রীতি নামের মেয়েটিকে ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছেন।