সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

১৯৪৭ সালে কাশ্মীরে পাকিস্তানের আগ্রাসন ‘কালো দিবস’ স্মরণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

HBD NEWS
  • Update Time : শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১

স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ওপেন ডায়লগ বাংলাদেশ (ওডিবি)’র উদ্যোগে ‘অপারেশন গুলমার্গ’ নামে পরিচিত ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরে পাকিস্তানের আগ্রাসন ‘কালো দিবস’ স্মরণে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) গুলশান দুই নম্বরে ওডিবি’র মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য পুরো এশিয়া উপমহাদেশে সহিংসতা ও দ্বিধাদ্ভন্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই ঘৃণ্য নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছিল পাকিস্তান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনী দ্বারা পরিচালিত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামক গণহত্যার কোডের সমান্তরালে তৈরি হয়েছিল এই আয়োজন।

সংগঠনের সমন্বয়কারী মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতিক গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, রাজনীতিক হামদুল্লাহ আল মেহেদী, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কার্যকরী সভাপতি এ টি এম মমতাজুল করিম, নারী নেত্রী মিতা রহমান, আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ নাগরিক পরিষদ সভাপতি আবদুল আহাদ, সমাজকর্মী আর কে রিপন, মানবাধিকার সংগঠক এ জে আলমগীর প্রমুখ।

সংহতি প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, ২২ অক্টোবর, ১৯৪৭ সালে ৪০ হাজারের বেশি কাশ্মীরি মুসলমান, শিখ ও হিন্দু বর্বর পাক সেনাদের হাতে নিহত হয়েছিল। ১০ হাজার নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং দুই হাজার নারীকে জোর করে পাকিস্তান নিয়ে গিয়েছিল বর্বও বাহিনী। ‘অপারেশন গুলমার্গ’ নামে পাকিস্তান নেতৃত্বাধীন উপজাতীয় বাহিনী/কাবালিওয়ালীদের ১৯৪৭ সালে নিরীহ কাশ্মীরি জনগোষ্ঠীর উপর ২২ অক্টোবর আক্রমণের কোড জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিতে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ১৯৪৭ সালের উপজাতিদের ওপর আক্রমণ রাতারাতি ঘটেনি, এটি পাকিস্তানের কৌশলগত পরিকল্পনা। হানাদার বাহিনী দ্বারা বড় আকারের নৃশংসতা চালানো হয়েছিল। বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা ও তাদের সম্পদ লুট করা হয়েছিল, এমনকি হাসপাতালগুলোকেও রেহাই দেয়া হয় নাই।

তারা বলেন, আক্রমণকারীরা কাশ্মীরিদের দ্বারাও প্রতিহত হয়েছিল; তারা শ্রীনগর বিমানবন্দর দখল করার জন্য পাকিস্তানি আক্রমণকারীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। এই ধ্বংসযজ্ঞের পটভূমিতে, জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিংহ ভারত সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন এবং পাকিস্তান ও তার শক্তিশালী আক্রমণকারীদের দ্বারা লুণ্ঠিত হওয়ার জন্য তার রাজ্যকে বাঁচাতে ভারতের সঙ্গে একাত্মতার জন্য সন্ধি স্বাক্ষর করেছিলেন।

তারা বলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে সুরক্ষিত করেছিল জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরকে। ২৭ অক্টোবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম পদাতিক বাহিনী শ্রীনগর বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল এবং কাশ্মীরকে হানাদারদের থেকে মুক্ত করার যুদ্ধ শুরু করেছিল।

এইচ বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এ আপনাকে স্বাগতম। “সময়ের প্রয়োজনে- HBD NEWS24” নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে। আপনার পাশে ঘটে যাওয়া নানা সংগতি, অসংগতি আর তথ্য নিয়ে আপনিও যোগ দিন HBD NEWS 24 এ আমাদের কাছে মেইল করুন: hbdnews24@yahoo.com

More News Of This Category

© All rights reserved © 2012 HBDNEWS24

POWERED BY MH GROUP OF COMPANY.