ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম দাদু’র অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তযুদ্ধের চেতনায় দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন, অপশাসন ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। শাসকগোষ্টির লুটেরা গোষ্টির স্বার্থ রক্ষা আর নীতিহীন আত্মঘাতী নীতি-কৌশলের অসহায় শিকার হচ্ছে ধর্মীয় সংখালঘুসহ সাধারণ মানুষ। বিভক্তি বিভাজন ও সহিংস এই রাজনীতির কারণে সাধারন মানুষের বাঁচার গণতান্ত্রিক দাবিসমূহ হারিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, খুলনার গণমানুষের নেতা নুরুল ইসলাম দাদু’র ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক স্মরণ মঞ্চ আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা দূর্যোগে দেশের সাধারন ও শ্রমজীবী মানুষ আরো নিঃস্ব হয়েছে। আর ভোটের অধিকার না থাকায় তারা রাজনৈতিকভাবেও গুরুত্ব হারিয়েছে। আর সরকারের লুটেরা ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষার নীতির কারণে দেশের মানুষের বেচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় নুরুল ইসলাম দাদুদের মত নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন ছিল।
তিনি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, গণমানুষের অধিকার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় হিংসা-ঘৃণার সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অধিকার ও মুক্তি অর্জনে গণমানুষকে রাজনৈতিক ভাবে সংগঠিত হতে হবে।
নাগরিক স্মরণ মঞ্চের সমন্বকারী ও এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন-বিজিএ চেয়ারম্যান এআরএম জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, এশিয়া স্বপনপুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ জে আলমগীর, বিজিএ’র যুগ্ম মহাসচিব ফয়সাল আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম শুভ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, খুলনার রাজনীতিতে জনপ্রিয় ও সকল মহলের শ্রদ্ধেয় ভাষা সৈনিক নুরুল ইসলাম দাদু শুধু রাজনীতি নয়, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার জীবন আমাদের অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ করে দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশ, অধিকার আদায়, গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে অনুপ্রেরনা যোগায়। নীতিহিন ও প্রতিহিংসার রাজনীতির বিপরিতে সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই তাকে স্মরণ করা প্রয়োজন।