বাজারে চাল-ডাল-তেল-আটা-পেয়াজসহ প্রতি মুহুর্তে বাড়লেও বাড়েনি মানুষের দান মন্তব্য করে জাতীয় পার্টি-জেপি প্রেসিডিয়াম সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী বলেন, লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারন মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এই অবস্থা থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও এলপিজি’র মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে” জাতীয় ভোক্তা অধিকার আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার শুধুমাত্র ধনিক শ্রেণী আর লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাস্ত। ফলে বাজার সিন্ডিকেট জনগনের পকেট কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা যখন দিশেহারা, অনেকে বিদেশ হতে খালি হাতে ফেরৎ এসেছেন, দেশে কর্মহারিয়ে কিংবা ব্যবসা গুটিয়ে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ঠিক এমনি সময়ে একের পর এক সিন্ডিকেট এর কারসাজিতে লাগাম হীন নিত্যপণ্যের দাম।
সংগঠন এর সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুঠো ফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, গর্জো এর সভাপ্রধান সৈয়দ মনিরুজ্জামান লিটু, এনডিপির মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি মির্জা শরিফুল আলম, ডঃ হাবিবুর রহমান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুমিনুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক রেহেনা আকতার রেনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলী সোহেল রানা, মনির হাসান আজাদ, ব মোঃ গিয়াসউদ্দিন, অনলাইন জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ এর আহবায়ক মাহফুজ জাহিদ, যুগ্ম আহবায়ক আনিসুর রহমান নিলয়, হাফেজ মোঃ সালাহ উদ্দিন কাদের, জাতীয় জাগো নারী ফাউন্ডেশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুন নাহার বিথী, মোঃ তৌহিদুল ইসলাম মতিন তাজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ এম শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করতে না পারলে অশুভ দিনের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশ। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার ভারসাম্য সাধারণ মানুষের অধিকার। টিসিবি পণ্যের সহজলভ্যতা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করে বাংলাদেশে দুর্নীতি, কালোবাজারি ও মজুতদারি শক্ত হাতে দমন এখন সময়ের প্রয়োজন। নতুবা আমাদের ভাগ্যে অপেক্ষা করছে চরম বিপর্যয়।
সরকার লুটেরা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি করছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেখানে স্বয়ং সরকারি সংস্থাই বলছে, বড় জাহাজে করে গ্যাস আনা গেলে সিলিন্ডার প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা কম রাখা সম্ভব। সেখানে আবারও বিইআরসি’র মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে, সরকার ব্যবসায়ীদের অনৈতিক ও অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ করে দিচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে মো. আতাউল্লাক খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন অতীতে যদি সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করে আলু , পিয়াজ, চাল, তেল, অক্সিজেন সিন্ডিকেট কারীদেরকে দৃষ্টান্ত মুলক কঠোর শাস্তি প্রদান করতেন, তাহলে নিত্যপণ্য মূল্যের লাগাম হয়তো টেনে ধরা যেত। এই সিন্ডিকেট বাণিজ্য মানবতা বিরোধী অপরাধের চাইতে কোন অংশেই কম নয়।
তিনি বলেন, দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির সাথে হঠাৎ এলপিজি গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধি, দিশেহারা ভোক্তারা, বেপরোয়া সিন্ডিকেট এর লাগাম টেনে ধরবে কে? এর শেষ কোথায়?