আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুই পক্ষের দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বর প্রার্থী এমরান বিশ্বাস ও পরাজিত প্রার্থী আউয়াল জোমাদ্দারের সমর্থকরা ইউপি নির্বাচন ইস্যুতে শুক্রবার দুপুরে আগে কচুবুনিয়া বাজারে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে উভয় পক্ষের তর্ক-বির্তক সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় উভয় পক্ষই লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের ১৪ জন আহত হন।
আহতরা হলেন আউয়াল জোমাদ্দারের সমর্থক মনির শিকদার, ওবায়দুল শিকদার, মালেক, মোকসেদুল, অলি মৃধা, কবির মল্লিক, লাভলু শিকদার, জামাল খন্দকার ও সুমন এবং এমরান বিশ্বাসের সমর্থক সাখাওয়াত, কামাল শিকদার, রাসেল শিকদার, মজিবর হাজী, আজিজুল শিকদার। আহতদের মধ্যে আউয়াল জোমাদ্দারের সমর্থক মনির শিকদার ও এমরান বিশ্বাসের সমর্থক রাসেল শিকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আউয়াল জোমাদ্দার ও এমরান বিশ্বাস নির্বাচনকে ঘিরে ভোট দেওয়া না দেওয়া এবং স্থানীয় গ্রুপিং নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করেন।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।