শারদীয় দুর্গাপূজায় মণ্ডপের আশপাশে কোনো দোকানপাট ও মেলা বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে আজান ও নামাজের সময় মসজিদের কাছের পূজামণ্ডপগুলোতে সংযতভাবে পূজাঅর্চনা ও বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
আজ রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মন্দিরে প্রবেশের সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মন্দিরে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ক্ষেত্রবিশেষে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। থার্মাল স্ক্যানার থাকবে, কারো শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পূজামণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজামণ্ডপে আরাধনা করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।
তিনি বলেন, আজান ও নামাজের সময় মসজিদের কাছের পূজামণ্ডপগুলোতে সংযতভাবে পূজাঅর্চনা করা, সেই সময়ের জন্য বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে পূজামণ্ডপগুলোকে বলা হয়েছে। আজান ও নামাজের সময় তারা যেন বিরতি দেন। অনেক জায়গায় মসজিদ ও মন্দির অনেক পাশাপাশি, সেসব জায়গায় তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পূজামণ্ডপের আশেপাশে কোনো দোকানপাট ও মেলা বসতে দেওয়া হবে না। হাউজি ও জুয়া খেলা পূজামন্ডপে করতে দেওয়া হবে না। বাজি, পটকা ফোটানো যাবে না, মাদক সেবন করা যাবে না। অস্থায়ী পূজামণ্ডপগুলোকে নির্দিষ্ট দিনেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।
পূজামণ্ডপের নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বড় বড় পূজামণ্ডপে র্যাব ও পুলিশের বিশেষ টহলের সঙ্গে সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করা হবে। সীমান্ত এলাকার পূজামণ্ডপে বিজিবি ও উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড সতর্ক অবস্থায় থাকবে। কোনো দুষ্কৃতিকারী পূজামণ্ডপ এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে অথবা ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।