ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত প্রতারণার মামলায়।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এদিন রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার এসআই আনিসুর রহমান। রাসেলের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রথমে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রাসেলের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাসেলের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক হিমু রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী তিন দিনের মধ্যে যেকোনো একদিন তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর মো. মুজাহিদুর রহমান নামে এক গ্রাহক আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত ধানমন্ডি থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার আদেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদী ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের দুই টন এসি এবং ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি কাঠের টি টেবিল অর্ডার করেন। গত বছর ১১ জুলাই এসি বাবদ ৮৫ হাজার এবং ২২ জুলাই টেবিল টেবিলের দুই হাজার টাকা ছাড় বাবদ ২৩ হাজার টাকা পাঠান। পণ্য দুটি ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করবে বলে প্রতিষ্ঠানটির শর্ত ছিল। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর যোগাযোগ করলেও প্রতিষ্ঠানটি পণ্য দুটি ডেলিভারি করেনি। এজন্য বাদী রাসেল বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি টেবিলের টাকা ফেরত দেয়। কিন্তু এসির বিষয়ে তারা কোনো সমাধান করেনি। গত ২৫ মে ইভ্যালির পক্ষ থেকে জানানো হয় এসি ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে।