চীনের বিপ্লবকে ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ বিপ্লব হিসাবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মাও সেতুং ১৯৪৯ সালে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির কৃপাধন্য শাসকদের পরাজিত করে এবং চীনে নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করে। মাও সে তুংয়ের বিপ্লবের প্রধান শক্তি ছিল চীনের কৃষক। তিনি পুরো দেশকে এবং দেশের মানুষকে মুক্ত করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) “১ অক্টোবর চীন বিপ্লবের ৭২তম বার্ষিকী” উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, চীন আজ বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম একটি শক্তি। নানা সংস্কারের মধ্য দিয়ে চীন আজ বিশ্বশক্তি। আজও চীনের ঐক্য টিকে আছে। চীন বিপ্লবের ৭২ তম বার্ষিকীতে বলতে হয় বিপ্লবের পর আধুনিক চীনের ইতহাস তিন পর্বে বিভক্ত অর্থাৎ প্রথম পর্বে মাও সে তুংয়ের সময়কাল, দ্বিতীয় পর্বে দেং জিয়াও পিং ও অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ, আর তৃতীয় পর্বে শি জিন পিংয়ের উত্থান ও চীনকে বিশ্বশক্তিতে পরিণত করা।
নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও সেতুংয়ের আমন্ত্রণে চীন সফর করেন। ভাসানী চীনা বিপ্লবের সাফল্যে চমৎকৃত হয়েছিলেন। তিনি দেশে-বিদেশে সফরকালে বারবার বলেছেন, চীনের কমিউনিস্ট তাদের দেশে জনকল্যাণে যা কিছু করছে, তার সঙ্গে ইসলামের সাম্য-মৈত্রীর বাণীর মিল রয়েছে।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় চীনের মহান নেতা মাও সেতুং ও বাংলাদেশের মহান নেতা মওলানা ভাসানীর অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ১৯৬৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চীন বিপ্লব দিবসে মহান নেতা মওলানা ভাসানীর চীন সফর এবং চীনে সাত সপ্তাহ অবস্থানের মাধ্যমে এ সম্পর্কের সূচনা হয়। আজ চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।
তারা বলেন, সারা বিশ্বে আজ অস্থিরতা চলছে। ফলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীনের কাছে উচ্চ প্রত্যাশা সবার। বিশ্বের শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা এবং মানবজাতির উন্নয়ন ও প্রগতিতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সবাই মনে করে। বাংলাদেশের জনগন বিশ্বাস করে তাদের উন্নয়নে চীনের যেমন অবদান রয়েছে, ঠিক তেমনই অনেক সমস্যা সমাধানেও চীন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সেই ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের মানুষ চীনের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে।