এমন মন্তব্য করেছেন, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও রাজনীতি বিশ্লেষক ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আর বিএনপি নেতাদের দাবি, গণমানুষের হৃদয়ের গভীরে আছেন তাদের দলীয় প্রধান। শত চেষ্টাতেও তাকে মুছে ফেলা যাবে না। তার অনুপস্থিতিতে উত্তরসূরি হিসেবে তারেক রহমান সূচারুভাবেই দলের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন বলেও জানান নেতারা।
শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে গেল বছরের ২৫শে মার্চ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়। এরপর কয়েক দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বারানো হলেও আইনি বাধ্যবাধকতায় প্রকাশ্য রাজনীতিতে আর ফেরা হয়নি তার। আদৌ ফিরতে পারবেন কীনা তাও নিশ্চিত নয়। দলের নেতারা অবশ্য বলছেন, চারদেয়ালে আটকে রেখে তাদের দলীয় প্রধানকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে ফেলা যাবে না।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন,’দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীর পরিশেষ সেদিনই হবে যেদিন তিনি এ পৃথিবীতে থাকবেন না। আর যতদিন বেঁচে থাকবেন, সে জেলেই থাকুন, অসুস্থ বা বাইরে থাকুন খালেদা জিয়া খালেদা জিয়াই থাকবেন। দেশের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে, তিনি যতবারই নির্বাচন করেছেন, দেশের মানুষ কিন্তু তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।’
২০১৮ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হোটেলে দলের নির্বাহীদের সঙ্গে শেষবারের মতো বসেছিলেন বিএনপি প্রধান। এর ৫ দিন পরই দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান তিনি। রাজনীতির মাঠ থেকেও আড়ালে চলে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন। তার অনুপস্থিতি নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের মনেও প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন এই রাজনীতি বিশ্লেষক।
গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান,’তিনি রাজনীতির আসন থেকে দূরে চলে যচ্ছেন। জনগণের মন থেকে সরে যাচ্ছেন। উনি সুফিয়া কামাল হয়ে যাবেন, ওনার ছবি থাকবে উনি থাকবেন না। উনি জীবিত থাকবেন কিন্তু মানুষের মনে থাকবেন না। খুব ভুল কাজ করছেন। এরা খালেদা জিয়াকে বের করার জন্য বিন্দুমাত্র চেষ্টাই করছে না।’
মিড পিটিসি: ((দীর্ঘ বিরতির পর গেল সপ্তাহে চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়াকে ছাড়া হয়ে গেল দলের নির্বাহীদের সভা। যেখানে প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যাকে খালেদা জিয়ার বিকল্প নয় বরং উত্তরসূরি বলছেন নেতারা।
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন,’তার বিকল্প নেতৃত্বতো এখনও বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৈরী হয়নি। যেহেতু বেগম খালেদা জিয়ার ওপর সরকার একটা শর্ত দিয়ে রেখেছেন তিনি কোন রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না। তাই তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। আর তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেছেন এর মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার বিদায়ের কোন বিষয় আসেনি।’
তাদের প্রত্যাশা, সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত হবেন তাদের দলীয় প্রধান, আবারো নেতৃত্ব দেবেন বিএনপিকে। এই লক্ষ্য পূরণেই পথ চলছে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী।