সরকার লুটেরা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি করছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, যেখানে স্বয়ং সরকারি সংস্থাই বলছে, বড় জাহাজে করে গ্যাস আনা গেলে সিলিন্ডার প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা কম রাখা সম্ভব। সেখানে আবারও বিইআরসি’র মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে, সরকার ব্যবসায়ীদের অনৈতিক ও অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ করে দিচ্ছে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ মন্তব্য করেছেন।
তারা বলেন, করোনার আক্রমনে জনজীবন বিপন্ন, বেকারত্ব, দারিদ্র্যতা বৃদ্ধি পলেও সরকারী দলের নেতা আর লুটেরা গোষ্টির লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যেই চলছে সরকারের মূল্যবৃদ্ধির আগ্রাসন। চাল-ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, আদা-ময়দাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ যখন অতিষ্ঠ, তখন এলপিজি গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে আরো দুর্বিসহ করে তুলেছে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে জনগনের স্বার্থে নয়, লুটপাটের স্বার্থে। দেশকে আমদানিকৃত গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়েছে। সারা বছর সাশ্রয়ী ও নির্ধারিত মূল্য নিরাপদ সিলিন্ডার মানুষের কাছে পৌঁছাতে বিদেশ থেকে এলপিজি আমদানি ও ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভরশীল হয়ে জনগনের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না। এজন্য দেশের স্থল ও সমুদ্রভাগের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে সিলিন্ডার গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ করাতে হবে।
তারা বলেন, সরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত সিলিন্ডার গ্যাস উৎপাদন না করে একচেটিয়া ব্যবসার মাধ্যমে জনগনের পকেট কেটে লুটেরাদের পকেট ভারী করার সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। অথচ যথাযথভাবে গ্যাস উত্তোলন করে সরকারি উদ্যোগে সাশ্রয়ী দামে ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। কিন্তু সরকার সেই পথে না হেঁটে, জনগণের স্বার্থের বিপরীতে লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষার পথে হাঁটছে।
নেতৃদ্বয় এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করে, গ্যাস খাতের দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনা দূর করে দেশের গ্যাস দেশবাসীকে সাশ্রয়ী মূল্য দেওয়ার আহবান জানান।