আরিফুল ইসলাম জয়
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয়ে ৫ম প্রজন্মের মোবাইল টাওয়ার স্থাপন ও টাওয়ারের রক্ষণাবেক্ষণের চাকুরী দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া এক ভূয়া প্রকৌশলীকে আটক করেছে প্রতারণার শিকার এলাকাবাসী।
বুধবার রাতে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাইকডাঙ্গা গ্রামে তাকে আটক করা হয়। আটক ওই প্রকৌশলীর দাবি তার নাম রাহুল খান। সে ফরিদপুর জেলার ভাঙা উপজেলার সদরদি গ্রামের মৃত সিরাজুল খানের ছেলে।স্থানীয়রা জানান, গ্রামীণ ফোনের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয়ে রাহুল প্রায় ২০ দিন আগে পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাইকডাঙ্গা গ্রামের মহব্বত আলীর একটি ঘর ভাড়া নেন। সেখানে অফিস খুলে সে প্রতারণার ফাঁদ পাতে।
প্রতারণার স্বীকার সৈয়দ আলী জানান, জমি বাবদ এককালীন ১ কোটি ৪৪ হাজার টাকা এবং জমি ভাড়া বাবদ বার্ষিক আরো ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়ার আশ্বাসে ওই প্রকৌশলী তার নিকট থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছেন।
বল্লভেরখাস ইউনিয়নের চর বলরামপুর গ্রামের মিজানুর রহমান মিস্ত্রী জানান, আমাকে টাওয়ার নির্মাণ কাজ দেবে। টাওয়ারের দরপত্র অনুমোদনের জন্য টাকার দরকার। সেজন্য ২১ হাজার টাকা নিয়েছেন।
আটক রাহুল স্বীকার করেন, তিনি প্রতারণা করে সৈয়দ আলীর নিকট থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছেন। এছাড়া মজনু মিয়া, ফজলু মিস্ত্রি, কফিল উদ্দিন ও মিজানুর রহমানের নিকট থেকে ২১ হাজার করে আরো ৮৪ হাজার টাকা নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য কাবিল উদ্দিন জানান, ভূয়া ওই প্রকৌশলীর নিকট থেকে নগদ ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত টাকা প্রতারনার শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেয়া আটক ওই ভূয়া প্রকৌশলীর নিকট থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির পরিচয়পত্র, জমির দলিল, এবং শতাধিক ব্যক্তির ছবি ও পরিচয়পত্রের কপি পাওয়া যায়।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।