আগামীকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় সবকিছু খুলে দেয়া হচ্ছে। এ বিধিনিষেধ শিথিলের আগেই রাজধানীতে সব ধরনের যানবাহনের অবাধ চলাচল শুরু হয়ে গেছে। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে অস্বস্তিকর যানজটও শুরু হয়েছে। ট্রাফিক সিগনালগুলোয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও ১০ থেকে ১৫ মিনিটের যানজটও লক্ষ্য করা গেছে।
তবে, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে চেকপোস্টগুলোতে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নগরবাসীকেও চলাচল করতে দেখা গেছে। চলমান কঠোর লকডাউনের আগের দিনগুলোতে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অন্তত সাতটি জায়গায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে পুলিশকে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। তবে, এখন অধিকাংশ তল্লাশিচৌকি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও বন্ধ থাকছে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র।
এর আগে, করোনা সংক্রমণ রোধে ১লা জুলাই ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। তবে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে ও জীবন-জীবিকার প্রশ্নে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। এরপর ঈদ উদযাপন শেষে ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ১৯ দিনের এ বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে আজ।