কিন্তু দেশ বিদেশী নানামুখী ষড়যন্ত্রে বারবার বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে।ষড়যন্ত্রকারীরা যে হত্যার পরিকল্পনা আঁটছে তা নিয়ে সতর্কও করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। কিন্তু হিমালয় সমান হৃদয়ের অধিকারী বঙ্গবন্ধু ঘুনাক্ষরেও তা বিশ্বাস করতে চাননি। কেমন ছিল বঙ্গবন্ধুর শেষ দিনগুলো?
সারাজীবন একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়নও করে গেছেন। অর্জিত সেই স্বাধীন দেশটিকে তিনি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন উন্নত, সমৃদ্ধশালী হিসেবে।
আগস্টের ব্যস্ত দিনগুলোয় প্রতিদিনই অনেকের সঙ্গে দেখা করতে হতো বঙ্গবন্ধুকে। কাউকেই ফেরাতেন না তিনি। পঁচাত্তরের ৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় সুইজারল্যান্ডের নতুন রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র পেশ করেন বঙ্গবন্ধুর কাছে। বঙ্গবন্ধু তার কাছে ব্যক্ত করেন বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড করার লালিত স্বপ্নের কথা।
সকাল সাড়ে দশটায় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম চৌধুরী এবং এগারোটায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজী সাক্ষাৎ করেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। এ দুজনই পরে মোশতাকের মন্ত্রী হন।
বেলা বারোটায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন বিদেশ সফরের আগে সাক্ষাৎ করেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। এটিই ছিল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ড. কামালের শেষ সাক্ষাৎ।
এই দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত সমর সেন। সাক্ষাৎকালে বঙ্গবন্ধুকে নানা ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন তিনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা আমলেই নেননি।
সন্ধ্যা ৬টায় বাকশালের কয়েকজন নেতা সাক্ষাৎ করেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন বঙ্গবন্ধু।