রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আরও ২১ জনের লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
শনিবার দুপুরে লাশগুলো হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার রোমানা আক্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত বুধবার শনাক্ত হওয়া ২৪টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শনিবার ২১টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রোমানা আক্তার আরও বলেন, ডিএনএ পরীক্ষায় ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাকি লাশের ডিএনএ পরীক্ষার কাজ চলছে।
গত ৮ জুলাই হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় অন্তত ৫১ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে তিনজনের লাশ তখনই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাকি লাশগুলো পুড়ে গিয়েছিল। সেগুলো শনাক্ত করার উপায় ছিল না। ফলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ৪৮টি মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য ৬৮ জন স্বজনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।
শনাক্ত যে ২১ জনের মরদেহ শনিবার হস্তান্তর করার কথা রয়েছে, তারা হলেন- মিনা খাতুন (১৪), রহিমা (৩৯), মাহমুদা আক্তার (২২), রাবেয়া আক্তার, নাজমুল হোসেন, সেলিনা আক্তার, তাসলিমা আক্তার, ফাকিয়া আক্তার, রহিমা আক্তার, আমেনা আক্তার (২২), হাসনাইন (১২), শামীম (১৭), আকাশ মিয়া, সান্তা মনি আক্তার (১৪), অমৃতা বেগম (৩৬), শেফালী রানী সরকার (১৭), কল্পনা রানী বর্মন, মাহবুবুর রহমান (২৮), জিহাদ রানা, স্বপন মিয়া ও মো. নোমান (১৮)।
এছাড়া দিনাজপুরের ফয়জুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের লাল্টু মিয়ার মেয়ে লাবণ্য আক্তার, ভোলার চরফ্যাশনের রাকিব দেওয়ানকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।