দেশে যখন নীতিহীন রাজনৈতিক নেতাদের রমরমা অবস্থা তখন নির্মল সেনের মতো রাজনৈতিক নেতার বড্ড বেশি প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, নীতিহীন রাজনীতির ভিরে হারিয়ে গেছে নির্মল সেন। আজ গণমানুষের পক্ষের রাজনীতিতে নেতৃত্বের বড় অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) প্রখ্যাত সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ নির্মল সেনের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক স্মরন মঞ্চ আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন
তিনি বলেন, যাদের হাতে রাজনীতি, যাঁরা এটা ঠিক করার দায়িত্বে তাঁদের ক্রমাগত পিছু হটার ফলে রাজনীতিবিমুখ বিশেষ পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা। এই অবস্থায় নিমল সেনের মত রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের জীবন সংগ্রাম থেকে শিক্ষা গ্রহন করে নতুন পথের জন্য লড়াই করতে হবে। নির্মল সেনের স্বপ্ন ছিল শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ। অথচ আজ তার প্রয়াণ দিবসে কোনো রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি নেই। তবু এই কমরেডের স্বপ্ন পথ দেখাবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে। শোষণমুক্তির স্বপ্নের মধ্যে বেঁচে থাকবেন তিনি।
জাসদ উপদেষ্টা এনামুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিপ্লবী-সংগ্রামী নির্মল সেন। একজন সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, লেখক, সমাজচিন্তক, কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের মুক্তি আন্দোলনের আলোকবর্তিকা, দেশমাতৃকার স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী। আজ স্মৃতির আড়ালেই চলে গেছেন অনেকটা।
লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, রাজনীতির পাশাপাশি নির্মল সেন সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন আদর্শগত কারণে। পরম নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করেছেন। অসাধুতা কখনো তার কলমকে স্পর্শ করতে পারেনি। নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি কখনোই। সারাজীবন ছিলেন অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং সাহসিক ও নির্ভীক।
এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, জনগণের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা এবং সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিই মানুষের মুক্তি- এই আদর্শকে জীবনচর্যায় যুক্ত রেখেছেন নির্মল সেন। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের প্রতি ছিল তার অসীম দরদ। বাংলাদেশ তথা মাতৃভূমিকে তিনি প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। জন্মদাত্রী কলকাতা চলে গেলেও তিনি মাতৃভূমির টানে থেকে গেছেন। মাতৃভূমিকে তিনি মা ভাবতেন।
আরো আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, কবি মতিয়ারা চৌধুরী, লেখক সালমান মাহমুদ প্রমুখ।