মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) উপসচিব আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘টুঙ্গি পাড়ার মিয়াভাই’ সিনেমাটি প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যের জীবন নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। জাতির পিতার হাতে স্থাপিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (বিএফডিসি) থেকে এ যাবতকালে এটিই প্রথম জাতির পিতার জীবনীভিত্তিক নির্মিত চলচ্চিত্র। শাপলা মিডিয়া ইতোমধ্যে সিনেবাজ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমাটি প্রকাশ করেছে। যা বিনামূল্যে দেখা যাচ্ছে। টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ সিনেমাটি সিনেবাজ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে এবং প্রতিষ্ঠান খোলার পর সিনেমাটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার ও নির্মাতা সেলিম খান বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য অনেক বড় খুশির খবর। আমি মনে করি এতে করে শিক্ষার্থীরা জাতির পিতাকে নিয়ে সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। সেই সাথে জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করতে অণুপ্রাণিত হবে। এ সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আমাদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা।’
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়ে শেখ মুজিব যেভাবে বাংলাদেশের জাতির জনক হয়ে উঠেছেন সেই কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ সিনেমায়। শামীম আহমেদ রনীর চিত্রনাট্যে এটি পরিচালনা করেছেন সেলিম খান। ২ ঘণ্টা ১২ সেকেন্ডের সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে।
এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শান্ত খান। আর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। গত ২ এপ্রিল সারাদেশে ৫৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি।
শান্ত-দীঘি ছাড়া এতে আরও অভিনয় করেছেন শিবা শানু, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মাজনুন মিজান, দিলারা জামান, নাজনীন চুমকি প্রমুখ। মুক্তির আগে ৩০ মার্চ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিল ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ সিনেমাটির।
এরপর গত ১৫ জুলাই রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সিনেবাজ’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ‘বিনোদন এখানেই’ স্লোগানকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করে ‘সিনেবাজ’।