বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সরকার এই স্পাইওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে নিজ দেশের মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবীদের উপর নজরদারি চালিয়েছেন।
তালিকায় রয়েছে বিশ্বের প্রভাবশালী বেশ কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধান ও কূটনীতিকের নামও। এএফপি, সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমসের মতো বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের ১শ ৮০ জন সাংবাদিকও রয়েছেন এই তালিকায়। এছাড়াও নিহত জামাল খাসোগির সাথে যোগাযোগ থাকা এক নারীর ফোনও রয়েছে তালিকায়।
রবিবার গার্ডিয়ান, ওয়াশিংটন পোস্টের মতো বেশ কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য।
আইফোন, অ্যানড্রয়েডসহ সব ধরনের মোবাইল অপারেটরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হওয়া এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে কল, বার্তা, ইমেইল সহ সব তথ্য জমা হতে থাকে নজরদারি চালানো প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে। এমনকি গোপনে ফোনের মাইক্রোফোন ও ক্যামেরার দখল নিতে পারে এই সফটওয়্যার।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে পেগাসাসের উদ্ভাবক প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এনএসও। প্রযুক্তিটি তৈরীকারী ইসরায়েলি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এনএসও বলছে, সফটওয়্যারটি তারা সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরী করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠান ও গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বৈধভাবে সরবরাহ করা হয়েছে পেগাসাস।