মেসি আর ব্রাজিলের নেইমার। ফুটবলের দুই তারকা। দুজনেই একসময় বার্সেলোনা এফসি তে সতীর্থ ছিলেন। নেইমার দল পাল্টে এখন পিএসজির। তবে মেসি ঠিকই হয়ে আছেন ‘বার্সা বয়’! এক সময়ে ক্লাব ফুটবল এক জার্সিতে খেললেও আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের খেলার সময় দুজনে দুজনের জবরদস্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। যেমন হয়েছেন ১১ জুলাই কোপা আমেরিকার ফাইনালে। যদিও ব্যক্তিগত সম্পর্কে দুজন খুব ভালো বন্ধু।
বিশ্বময় আলোচিত দুই খেলোয়াড় যেমন আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সেরা, তেমনি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার খামারি শাহীনুল ইসলামের খামারে গত ৩ বছর ধরে বেড়ে ওঠা দুটি ছাগল; যারা কেবল টাঙ্গাইল জেলায় নয়, সারা দেশের মধ্যে সেরা। খামারি শাহীনুল ইসলাম সম্প্রতি আদর করে তার প্রিয় ছাগল দুটির নাম রেখেছেন মেসি ও নেইমার!
এবারের কোরবানির ঈদে মেসি ও নেইমারের দাম হাঁকছেন সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু চাইলেই তো আর বেচা হচ্ছে না! এত দাম দিয়ে কেউ কিনছে না মেসি বা নেইমারকে। তাই টাঙ্গাইলে নিজের বাসার পাশের হাটে তুলেছিলেন রাজস্থানের হারিয়ানা জাতের ছাগল দুটিকে। কিন্তু দামে বনিবনা না হওয়ায় ফেরত নিয়ে গেছেন।
মেসি ও নেইমারের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রয়েছে দেশীয় খৈল, ভুট্টা, ভুষি ও গাছের পাতা। গত ৩ বছর ধরে দারুণ যত্নে ওদের দুজনকে পালন করে আসছেন শাহীনুল। কালো রংয়ের মেসি ও নেইমার লম্বায় সাড়ে তিন ফুট আর উচ্চতায়ও প্রায় তিন ফুট।
তিনি বলেন, অনেকেই কোরবানির গরু এবং ছাগলের বিভিন্ন নাম রাখেন। আমিও তাই আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের দুই বিখ্যাত খেলোয়াড়ের নামানুসারে ওদের নাম মেসি এবং নেইমার রেখেছি।
আসলে কি তাই? অতীতেও লক্ষ্য করা গেছে, বিভিন্ন নাটকের চরিত্র, অভিনেতা অভিনেত্রীর পোশাকের নামে বিভিন্ন রকম পণ্যের নাম রেখে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এর কারণ জানতে চাইলে মনো চিকিৎসক অধ্যাপক মুহিত কামাল বলেন, বিভিন্ন পণ্য বা প্রাণীর এরকম নাম রাখা মানে, মানুষের মনে এক ধরনের কৌতুহল এবং মোহের সৃষ্টি হয়।
বিডি ফাইন্যান্সের ব্র্যান্ড ম্যানেজার সারাহ এম শারমীন বলেন, মানুষের মনের মধ্যে গেঁথে যাওয়া কোনো বস্তু, নাম, শ্লোগান, সংলাপ, ট্যাগলাইন বিভিন্ন বস্তু বা পণ্যের নামের সঙ্গে ব্যবহার করলে, তা সহজেই ক্রেতাদের মনের ওপর প্রভাব পড়ে। ক্রেতারা সে পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এটা এক ধরনের মার্কেটিং পলিসি এবং ব্র্যান্ডিংও বটে।
মেসি ও নেইমার বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন দেবনাথ বলেন, রাজস্থান হারিয়ানা জাতের ছাগল দুটি ভূঞাপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড়। এই জাতের ছাগল অল্পসময়ে দ্রুত বেড়ে ওঠে। এদের পালন করে খামারিও বেশ লাভবান হতে পারেন।