রূপগঞ্জ উপজেলায় কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নেভাতে বিলম্বের কারণ জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, ভোরের দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল, কিন্তু সকালে আবারো বেড়ে যায় আগুন। পুরো কারখানায় ছিল অতিরিক্ত দাহ্য পদার্থ। আমরা যখনই আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনি তখনই আবার আগুন বেড়ে যায়। কেমিক্যালের দাহ্য পদার্থের কারণে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
তিনি বলেন, এ দাহ্য পদার্থের কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে এবং হতাহত হয়েছে। দাহ্য পদার্থে আগুন দ্রুত ছড়ায়। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা বা তদন্ত কমিটি হয়নি। আমরা আগুন নেভানোর পর এ ব্যাপারে কাজ শুরু করব। কেউ দোষী হলে তাকে দায়ী করে মামলা হবে, নয়তো তদন্ত কমিটি করে এখানে দোষ কার খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সাততলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচতলার একটি ফ্লোরের কার্টন থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এক পর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কালো ধোঁয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে শুরু করে। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন।
আবার কেউ কেউ ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে শুরু করেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই স্বপ্না ও মিনা নামে দুই নারী নিহত হন। পরে মোরসালিন লাফ দিয়ে আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যুর খব।