মহামারীর মধ্যেই বন্যা নিয়ে নতুন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, চলতি মাসে দক্ষিণাঞ্চল বাদে দেশের আর সব অঞ্চলেই বন্যা হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলেছে, আগামী তিন দিন প্রায় সারা দেশেই বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। এর মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষপ্তিভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এর মধ্যে শেষেরটিতে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক আর বাকিগুলোতে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা হতে পারে।
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় রোববারও প্রায় সারা দেশে বৃষ্টি বর্ষিত হয়। শনিবার দিনের বেলা ঢাকা বৃষ্টিমুক্ত ছিল। কিন্তু রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। বিএমডি দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে।
এ ব্যাপারে বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা যদি অতিবৃষ্টি হয় তখন বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। নদীতে যে বন্যা তার ৯৩ শতাংশ পানির উৎস উজানের দেশগুলো। ভারত, নেপাল, চীন ও ভুটান থেকে আসে এই পানি। এই পানি বাংলাদেশে বন্যার প্রধান কারণ। দেশের ভেতরের বৃষ্টি নদীর বন্যার ওপর তেমন একটা প্রভাব ফেলে না। এটা নগরবন্যার কারণ হতে পারে। তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি সময়ের সাথে পরিবর্তন হতে পারে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন আবহাওয়া সংস্থার গত কয়েক দিনের কম্পিউটার মডেল প্রায় দেড় হাজার মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল। এখন একটু কম দেখাচ্ছে। ৫ থেকে ৮শ’ মিলিমিটার বৃষ্টি আছে। কিন্তু মেৌসুম সক্রিয় থাকায় বৃষ্টির পরিমাণ যে বাড়বে না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ৭-৮ জুলাই উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো বিপদসীমা পার করতে পারে।