তোপখানা রোডের একটি বাসা থেকে সুইটি নামে ১২ বছর বয়সী এক শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে আটক স্বামী মো. তানভির আহসান এবং স্ত্রী অ্যাডভোকেট নাহিদ কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শাহবাগ থানার এসআই (নি.) জাহাঙ্গীর হোসেন আসামিদের আদালত হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ভিকটিম সুইটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দেখে জাতীয় জরুরি সেবায় (৯৯৯ নম্বরে) অবগত করা হয়। পুলিশ সুইটিকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে ও জড়িত আসামিদের খোঁজখবর করা হয়। আসামিদের নাহিদের বাবার বাসায় পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় সুইটি তাদের বাসার কাজের মেয়ে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ঘটনাটি ভিকটিমের পরিবারকে জানানো হয়েছে। ভিকটিমের অভিভাবকের অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ অবস্থায় আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন জাহাঙ্গীর হোসেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শাহবাগ থানার নন জিআর শাখার নিবন্ধন কর্মকর্তা ফুয়াদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।
জানা যায়, সুইটির বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার নবাবপুর গ্রামে। অভাবের তাড়নায় দরিদ্র বাবা-মা তাকে রাজধানীর তোপখানা রোডে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দিতে বাধ্য হয়েছে। সেখানে সে ৯ মাস ধরে কাজ করছে। প্রায় প্রতিদিনই তাকে নানা অজুহাতে গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে মারধর করে। সুইটির চোখের নীচে আঘাতের চিহ্ন, হাতে গুরুতর জখম হয়েছে।
মেয়েটির শরীরে নির্যাতনের চিহ্নসহ কিছু ছবি শনিবার (৩ জুলাই) রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দ্রুত সহযোগিতা ও আইনি ব্যবস্থার আকুতি জানান এক প্রতিবেশী।