সাতকানিয়ায় ছুরিকাঘাতে দোকান কর্মচারী আবদুল গনি প্রকাশ রকি (২৫) হত্যার ঘটনায় মো. মাঈনুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে কক্সবাজার সদর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনিয়ে এ ঘটনায় যুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা এলাকায় নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলার সময় তর্কাতর্কির জেরে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় স্থানীয় একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী রকিকে।
গ্রেফতার মাঈনু সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল গণির ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৪ জুন নির্মাণাধীন রেললাইনে বসে গ্রেফতার সোহেল, শফিক এবং মাঈনুকে সঙ্গে নিয়ে মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেমস খেলছিল নিহত দোকান কর্মচারী আবদুল গনি প্রকাশ রকি। নিহত রকি সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের গুনু মিয়ার ছেলে মনজুর আলমের ফার্নিচারের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। রাতে কাজ শেষে রেললাইনে বসে মোবাইলে গেমস খেলত। সে সুবাদেই তাদের সঙ্গে রকির পরিচয়।
ঘটনার দিন রাতে তাদের সঙ্গে গেমসের বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তারা তিনজনই স্থানীয় হওয়ায় একজোট হয়ে রকিকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত রকিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ২৮ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দোকান কর্মচারী রকি মারা যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে বিষয়টি তদন্ত করে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে ধরে আনে। এদের মধ্যে সোহেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে খুনের কথা স্বীকার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের তথ্য দেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ জুন সকালে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত শফিককে গ্রেফতার করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে খুনের কথা স্বীকার করে তারা আদালতে জবানবন্দিও দেয়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গ্রেফতার মাঈনুদ্দীনের ছুরি দিয়েই নিহত রকিকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে দাবি করে স্বীকারোক্তি দেয় ইতোপূর্বে গ্রেফতার দুজন আসামি। বুধবার ভোরে কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।