ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
ঘটনার পাঁচ দিন পর ১৪ জুন সকালে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি।
ওই দিন বিকালেই নাসির-অমিসহ ছয়জনকে উত্তরা থেকে মাদকসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু গ্রেফতারের ছয় দিন পর জানা গেল, আসামিদের পরীমনির করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়নি। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে ডিবির এসআই মানিক কুমার শিকদারের করা মামলায়।
মামলার বাদী মানিক কুমার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নাসির-অমিসহ সবাইকে মাদকসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। পরীমনির বিষয়টি নিয়ে যখন আলোড়ন সৃষ্টি হয়, তখন আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হারুন স্যারের {ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ} নির্দেশে ছায়া তদন্ত শুরু হয়। একপর্যায়ে তদন্ত করতে গিয়ে আমরা তাদের মাদকসহ গ্রেফতার করি।
এসআই মানিক কুমার আরও বলেন, একটা মামলার তদন্ত করতে গেলে আসামিদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানা যায়। পরীমনির ওই ঘটনায় আমরা দেখলাম, তাদের গ্রেফতার করা দরকার। তাদের গ্রেফতার করতে গিয়ে মাদক পাই। মাদক জব্দ করি এবং চার্জ গঠন করি। এটি ঠিক, ফাইনালি এটি রেকর্ড হয়েছে মাদকের মামলা, পরীমনির অভিযোগে নয়।
‘তদন্ত কর্মকর্তা যিনি আছেন, উদয় কুমার মণ্ডল, তার তদন্তে যদি অন্য কিছু বেরিয়ে আসে সেটি অন্য কিছু’, যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত গত ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ঘটনার চার দিন পর রোববার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা পরীমনি।
সোমবার সকালে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি।
ওই দিনই প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।