কদমতলী থানার মুরাদপুরের হাইস্কুল রোডের একটি বাসা থেকে মধ্যবয়সী এক দম্পতি ও তাদের মেয়ের লাশ উদ্ধারের মামলায় গ্রেপ্তার ওই দম্পতির বড় মেয়ে মেহজামিন ইসলাম মুনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকির হোসাইন আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
বেলা তিনটার কিছুপর মুনকে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় তাকে স্বাভাবিক দেখাচ্ছিল। কথাও বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। কেন খুন করলেনএমন প্রশ্নে মুন বলেন, ‘পরকীয়া এবং পারিবারিক ঝামেলার কারণে খুন করেছি। ’এই খুনে তার সঙ্গে আর কেউ ছিল কি না- মুন জানান, তিনি একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
কোনো অনুশোচনা হচ্ছে না- মুনের জবাব, ‘আমার কোনো অনুশোচনা হচ্ছে না। বরং কাল থেকে আরও ভালো আছি। সুস্থ, স্বাভাবিক আছি।’
রোববার রিমান্ড শুনানিতে আদালতে মুনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
গত ১৮ জুন রাত ৯টা থেকে বিভিন্ন সময়ে চা-কফি ও পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মাসুদ রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম এবং মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম মোহনীকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় মেহজাবিন ইসলাম মুন এবং তার স্বামী শফিকুল ইসলাম অরন্যকে আসামি করে মাসুদ রানার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন কদমতলী থানায় মামলা করেন।