অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত ২৬ শে মে হায়দরাবাদ থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে প্রয়াত অভিনেতার ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার তথা ফ্ল্যাট মেট সিদ্ধার্থ পিঠানিকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সিদ্ধার্থ পিঠানি গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই অভিনেতার পরিচারকদের তলব করেছে এনসিবির।
এনসিবি সূত্রে জানা গেছে, রবিবার গভীর রাতে সুশান্তের দুই পরিচারক নীরজ এবং কেশবকে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বাল্লাড এস্টেটে মুম্বইয়ের দপ্তরে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয় তাঁদের। প্রসঙ্গত, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই দুজনকে সমন পাঠিয়েছিল এনসিবি।
সংবাদ সংস্থা এনএনআই-কে এই খবর নিশ্চিত করে এনসিবি জানিয়েছিল, গত ২৬ তারিখ পিঠানিকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মুম্বাই নিয়ে আসা হয়। এবং সেখানে আদালতে তোলা হলে তার পাঁচ দিনের এনসিবি রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আগামী ২ জুন পর্যন্ত এনসিবির কাস্টডি-তে রয়েছেন পিঠানি।
গত ১৪ জুন সুশান্তের বান্দ্রার কার্টার রোড অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার মরদেহ। সুশান্তের বাবা রিয়া ও তাঁর গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনেন গত ২৫ জুলাই। সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলার তদন্তে নেমে রিয়ার মাদকযোগের সন্ধান পায় ইডি।
সেই সূত্র ধরে বলিউডের মাদককাণ্ডের তদন্তে নামে ভারতের কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই মামলায় গত সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের বাড়ির ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং দীপেশ সাওয়ান্তকে। পরবর্তীকে গ্রেপ্তার হন রিয়াও। আপতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন চারজনেই।
সুশান্তের মৃত্যুর দিন ওই অ্যাপার্টমেন্টেই উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধার্থ পিঠানি, দীপেশ সাওয়ান্ত, নীরজ ও কেশব। অন্যদিকে মার্চের শুরুতেই সুশান্তের মৃত্যু সংক্রান্ত মাদক মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই শৌভিক, স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ান্তসহ ১২,০০০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে ৩৩ জন অভিযুক্তের নাম করা হয়েছে।