চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করছে তাঁর জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। খালেদা জিয়ার কেন জ্বর এলো এবং জ্বরের ওঠানামা দেখতে তাঁকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখবেন চিকিৎসকরা। পরবর্তী সময়ে তাঁরা নতুন করে চিকিৎসাপত্র দেবেন।
জানতে চাইলে শনিবার (২৯ মে) বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিনিয়র ম্যানেজার ডা. আরিফ মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বেগম জিয়ার জ্বর আসছে বা ছেড়ে দিচ্ছে। এটি পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিত্সকরা। একই সঙ্গে তাঁর অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলছে। নির্দিষ্ট সময় পর তাঁর জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।’
খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য বা তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে শুধু বলেন, ‘তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন। নতুন কোনো তথ্য পেলে আমরা সবাইকে জানাব।’
বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে আমরা কোনো কিছুই মিডিয়াকে ব্রিফ করব না, যা ব্রিফ করার দলের পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব করবেন।’
গত শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে ‘বাজেট ভাবনা : ২১-২২’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে সাংবাদিকরা আমার কাছে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা কেমন তা জানতে চাইছেন। মোটামুটিভাবে তাঁর শরীরের অন্য যে প্যারামিটারগুলো আছে, সেগুলো আগের মতোই আছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তাঁর জ্বর দেখা দিয়েছে। চিকিত্সকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন কেন হঠাত্ করে জ্বর এসেছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে খালেদা জিয়ার। ১৫ এপ্রিল তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৭ এপ্রিল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ২৮ এপ্রিল ব্যক্তিগত ও এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিত্সকদের সমন্বয়ে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। ৩ মে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয় খালেদা জিয়াকে। পরে তাঁর বিদেশে উন্নত চিকিত্সার সুযোগ দিতে ৫ মে সরকারের কাছে আবেদন করেন তাঁর ভাই শামীম এস্কান্দার। তবে সরকার সেই আবেদন নাকচ করে দেয়।