যুবতী গণধর্ষণ এবং নিগ্রহের মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দুই আসামি পালানোর চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশ তাদের পায়ে করলে গুলি করলে ওই দুজন আহত হন বলে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিসিপি (বেঙ্গালুরু ইস্ট) শ্রানাপ্পা এসডি বলেছেন, ‘শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ ঘটনার পুনঃতদন্তের জন্য অপরাধীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অপরাধস্থলে। দুজন পালানোর চেষ্টা করায় পুলিশ বাধ্য হয় গুলি চালাতে। অভিযুক্তদের পায়ে গুলি লেগেছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ২২ বছরের ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। গ্রেফতার সবাই একই গ্রুপের এবং সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের দুজন নারীও রয়েছেন।
ঢাকার পুলিশ বলছে, গণমাধ্যম থেকে তারাও গ্রেফতারের খবর জেনেছেন। আর ওই ঘটনায় ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা।
হাতিরঝিল থানার ওসি মো. আব্দুর রশীদ বলেন, টিকটকার হৃদয় বাবুসহ কয়েকজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেছেন মেয়েটির বাবা। গণমাধ্যম থেকে আমরা কয়েকজনকে গ্রেফতারের খবর পেয়েছি। তবে অফিসিয়াল চ্যানেলে এখনও ভারতের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।
ভারতের বেঙ্গালুরু পুলিশকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার এনডিটিভি জানায়, নির্যাতনের ওই ঘটনাটি ঘটেছে ছয় দিন আগে। বিভৎস কায়দায় নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি দেখার পর প্রথম পদক্ষেপ নেয় আসাম পুলিশ। ওই ভিডিও থেকে পাঁচ নিপীড়কের ছবি প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য টুইটারে পুরস্কারের ঘোষণা দেয় তারা।
হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়, ওই ভিডিওর উৎস খুঁজতে গিয়ে আসাম পুলিশ জানতে পারে, নির্যাতনে জড়িতরা আছে বেঙ্গালুরুতে। তারপর সেই তথ্য কর্ণাটক পুলিশকে সরবরাহ করে তারা। পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ ওই ভিডিওর সূত্র ধরে ছয়জনকে গ্রেফতারের কথা জানায়।
বেঙ্গালুরুর পুলিশ বলেছে, ঘটনার শিকার তরুণী এখন ভারতের অন্য একটি রাজ্যে রয়েছেন। তাকে বেঙ্গালুরুতে নেওয়ার জন্য পুলিশের একটি দল গেছে। তাকে বেঙ্গালুরুতে নেওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার জবানবন্দি নেওয়া হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী ও নির্যাতনকারীদের একজন ঢাকার মগবাজার এলাকার। তবে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালায়।