কথা উল্লেখ করে লকডাউন চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন দাখিল করে শুনানির জন্য আদালতে উপস্থিত না থাকায় অ্যাডভোকেট ড. ইউনুছ আলী আকন্দকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা (কস্ট) করলেও তা ক্ষমা করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের কাছে ক্ষমার আবেদন করায় আদালত তাকে ক্ষমা করে দেন। তবে তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। আদালত ইউনুছ আলী আকন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘সাবধান হয়ে যান।’
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন। মামলা করে শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত না থাকায় গত ৫ মে হাইকোর্ট ইউনুছ আলী আকন্দকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন ইউনুছ আলী আকন্দ।
জরুরী অবস্থা জারি করা ব্যতিত লকডাউন দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রিট আবেদনে চলমান লকডাউনের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়। একইসঙ্গে আর যাতে লকডাউন দেওয়া না হয়, সেজন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়। এই রিট আবেদনটি শুনানির জন্য গত ২ মে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় থাকলেও আদালত রিট আবেদনকারীর আইনজীবীকে কয়েকদফা খুঁজলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আদালত ওই আইনজীবীকে বলেন, শুনানির সময় আপনাকে পাওয়া গেলোনা। এবিষয়ে আদেশ ৪ মে। এ অবস্থায় ৪ মে মামলাটি কার্যতালিকার এক নম্বরে থাকলেও ইউনুছ আলী আকন্দ শুনানির জন্য উপস্থিত ছিলেন না। একারণে আদালত ‘নট টুডে’ বলে আদেশ দেন। এ অবস্থায় ৫ মে কার্যতালিকার এক নম্বরে ছিল মামলাটি। ওইদিনও আইনজীবী আদালতে যুক্ত ছিলেন না। আদালত শুনানি জন্য আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দকে খুঁজলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগেও একই কারণে একাধিক আদালত থেকে এ আইনজীবীকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়। আদালত অবমাননার দায়ে আপিল বিভাগ গতবছর এ আইনজীবীকে তিন মাস সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল।