বৃহস্পতিবার (২০ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চুয়ালি শুনানি শেষ হওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান রোজিনা ইসলামের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
এদিকে বুধবার রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের দায়ের করা মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে, গেল মঙ্গলবার (১৮ই মে) প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে, আদালত অধিকতর শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করে রিমান্ড নামঞ্জুর করে রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তারপর থেকেই কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন রোজিনা ইসলাম।
রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা ও নথি নিজের কাছে রাখার অভিযোগে গেল সোমবার (১৭ই মে) রাজধানীর শাহবাগ থানায় প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে, সংবাদ সংগ্রহের জন্য সচিবালয়ে গেলে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন এবং মামলা দিয়ে হেনস্তা করার প্রতিবাদ দেশব্যাপী আন্দোলনে নেমেছেন ক্ষুব্ধ গণমাধ্যমকর্মীরা। রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে মানবন্ধন ছাড়াও স্বেচ্ছা কারাবরণের আবেদন নিয়ে থানায় হাজির হন গণমাধ্যমকর্মীরা।