সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটা ও দোকান নির্মাণের কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা চেয়ে করা আদালত অবমাননার আবেদনটি শুনানির জন্য ২০ মে দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। এ সময়ে যাতে গাছ কাটা না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১১ মে) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত জানান।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, ২০ তারিখে আবেদনটি শুনানির জন্য আসবে। আপনি মৌখিকভাবে বলে দেবেন এ সময় পর্যন্ত যেন গাছ না কাটে। আপাতত যেন গাছ না কাটে।
এদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা আপাতত বন্ধ থাকবে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রয়োজনে নকশারও পরিবর্তন করা হতে পারে। আমি নিজে সরেজমিন পরিদর্শন করব এবং পরিবেশবিদদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। এছাড়া এবিষয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১১ মে) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটার বিষয়ে পরিবেশবিদ ও নগর পরিকল্পনাবিদদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করা হবে। সেই কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কমিটির সবার আলোচনায় যদি প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করতে মত হয়, তাহলে সেটাও করা হবে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৫০টি গাছ কাটা হয়েছে। আরো ৫০টি গাছ কাটা হতে পারে।