মৃত্যু আর আর্তনাদের উপত্যকা এখন কাবুল। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলের একটি স্কুলে শনিবারের জঙ্গি হামলায় দেশটির নাগরিকেরা হতবাক। স্বজনদের আহাজারিতে ভরে উঠেছে হাসপাতালগুলো। মঙ্গলবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ঘানি সরকার। এদিকে ঈদ উপলক্ষে তিনদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে তালেবান।
দাশ্ত-এ-বারচির শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার না করলেও, সন্দেহের তীর সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ও তালেবানের দিকে। যদিও তালেবান বলছে, বেসামরিকদের ওপর হামলা চালায় না তারা।
এরইমধ্যে হামলায় নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। স্বজনরা বলছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের পাশাপাশি শান্তি চান তারা।
তারা বলেন, আমার ভাতিজি কোনদিনই স্কুল কামাই দিতো না। হামলার দিন তার মা বলেছিল, স্কুলে না যেতে, কিন্তু সে কারো কথা শোনেনি। খুব বুদ্ধিমতি আর ভালো ছাত্রী ছিল। এই কষ্ট বলে বোঝানো যাবে না।
স্বজনদের আরো অভিযোগ, নিরাপত্তা দিতে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। আমরা শান্তি আর নিরাপত্তা চাই। সরকার কিংবা বিদেশি শক্তি, কেউই যেটা দিতে পারেনি। সংঘাত আর সহিংসতায় জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে আমাদের।
সম্প্রতি মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার ঘোষনা দেয়ার সাথে সাথেই বেড়ে গেছে হামলার মাত্রা। কেউ কেউ বলছেন, তালেবানের মত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্য ধীরে ধীরে সারাদেশেই তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। দুর্বল আর অপ্রতুল নিরাপত্তাবাহিনী ও দুর্নীতিপরায়ণ অদক্ষ প্রশাসন জঙ্গিদের লক্ষ্যে খুব একটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে, সে কথাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।