মাহে রমজানের এটিই শেষ জুমা। জুমাতুল বিদা উপলক্ষে শুক্রবার (৭ মে) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমসহ সারা দেশে মসজিদগুলোতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ঢল নেমেছে।
রোজা রেখে গুনাহ মাফ ও সাওয়াবের আশায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা থেকে মুসল্লিরা আসা শুরু করেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বেলা সোয়া ১১টার মধ্যে মুসল্লিদের প্রবেশ করিয়ে মসজিদের মূল মিম্বারের রুমটি ভেতর থেকে আটকে দেওয়া হয়। যাতে কোনো মুসল্লি অহেতুক ভিড় করতে না পারেন।
সাড়ে ১২টার মধ্যে মসজিদের নিচে সাহান মুসল্লির উপস্থিতি পুর্ণ হয়ে মসজিদের বাইরে চলে যায়। কড়া রোদ উপেক্ষা করে বায়তুল মোকাররমের বাইরে ছাদে, মসজিদের সিড়িতে ও নিচে মুসল্লিরা নামাজ আদায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন।
পবিত্র জুমাতুল বিদায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মুসল্লির ঢল নামায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়েছে। এক কাতার বাদ দিয়ে নামাজ পড়ার শর্ত এবং শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। মাস্ক পরতে দেখা যায়নি অনেক মুসল্লিকে।
দুপুর ১২টার মধ্যে মসজিদের উপরে-নিচে মুসল্লিতে ভরে যায়। রাজধানীর দূর দুরান্ত থেকে মুসল্লিরা আসছেন।
মোকাররমের মতো রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার মসজিদ, শাহজানপুর ও মহাখালীর গাউছুল আজম জামে মসজিদ, পল্টন জামে মসজিদ, গুলশান আজাদ মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে জুমাতুল বিদায় মুসল্লির ঢল নেমেছে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিজের জন্য দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি দেশের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি তথা মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করবেন।