ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান লকডাউন শেষ হলেও আন্তজেলা বাস সার্ভিস চালু না করে কেবল মহানগরীর মধ্যে গণপরিবহন চালুর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আন্তজেলায় বাস চলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে মহানগরীতে বাস চলতে পারে’।
সোমবার (৩ মে) মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কভিড-১৯ হাসপাতালে মেয়র আতিকুল ইসলামের সৌজন্যে দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন।
জানা গেছে, এক হাজার শয্যার মধ্যে ২৫০টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে হাসপাতালটি। রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসির পাইকারি কাঁচাবাজারের ভবনে স্থাপন করা এক হাজার বেডের এই হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’। গত ১৮ এপ্রিল হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়।
হাসপাতালটিতে ২১২ শয্যার আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রয়েছে। এছাড়া ২৫০ শয্যার এইচডিইউ (উচ্চ নির্ভরতা ইউনিট), ৫০ বেডের জরুরি বিভাগ (৩০টি পুরুষ, ২০ নারী) ও ৫৪০ (সিঙ্গেল) রুমের আইসোলেশন ব্যবস্থা রয়েছে। এই রুমগুলো অনেকটা কেবিনের মতো। দ্রুতই বেডের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে শনিবার (১ মে) দ্রুত গণপরিবহন চালু হতে পারে এমন আভাস দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে জনস্বার্থ বিবেচনা করে সরকার লকডাউনের পর গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছে’।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার সারাদেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করলে ওই দিন থেকেই গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৭ এপ্রিল থেকে কেবল সিটি করপোরশনগুলোতে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। ১৪ এপ্রিল সরকার আরো কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করলে ওই দিন থেকে ফের বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।
সরকারের এই কঠোর বিধি-নিষেধ প্রথমে ২১ এপ্রিল, এরপর ২৮ এপ্রিল এবং সবশেষ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে একাধিকবার গণপরিবহন চালুর বিষয়ে কথা উঠেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পরিবহন শ্রমিকরা উপার্জনহীন হয়ে পড়লে তারা বারবারই গণপরিবহন চালুর দাবি তুলেছেন।