করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোরাঁ ব্যবসা। বন্ধ হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চাকারি হারাচ্ছেন কর্মীরা। কর্মহীন, আয়হীন সময় যতো দীর্ঘ হচ্ছে, অনিশ্চিত জীবনের হতাশাও তত গভীর হচ্ছে। পুঁজি হারানো শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া মালিক আর কাজবিহীন শ্রমিক-সবাইকেই অসহায় করে তুলেছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় আঘাত ।
বহুদিন হলো, ঘর নেই, প্রিয় মানুষের অপেক্ষাও নেই। এখন নিজের ঘর নিজেরই খুলতে হয়। সেখানে কারো প্রত্যাশা নেই। আছে প্রতিদিনের বেড়ে ওঠা জমাট দীর্ঘশ্বাস। আর আছে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার খন্ড খন্ড ব্যর্থতা-চিহ্ন। রেস্তোরায় চাকরি করে স্ত্রী -সন্তানদের নিয়ে সুখে শান্তিতেই ছিলেন। কিন্তু করোনা কেড়ে নিয়েছে ঘর, দূরে ঠেলে দিয়েছে প্রিয়জনদের।
আর যারা সর্বস্ব শেষ করে দিনবদলের আশায় রাজধানী এসেছিলেন, তাদের স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট জমছে প্রতিদিন। একসময় নিজে চাকরি করতেন। স্বামী-সন্তানের বেতনসহ মাসে আয় ছিলো চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা। এখন সম্বল শুধু ছেলের সাড়ে ছয় হাজার টাকার চাকরিই।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের গবেষণা বলছে, মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ভুগেছে রেস্তোরাঁ খাত। আর এখাতে কাজ করে ২৫ লাখ শ্রমিক। শুধু ইফতার বিক্রিতে একটু স্বস্থি ফিরেছে মাত্র ২০ শতাংশের।
বিপুল লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে, পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে নতুন উদ্যমে শুরু করেছিলেন আবার। কিন্তু এবারের ধাক্কা যেন কোমড় ভেঙে দিয়েছে। ব্যবসার আস্থাসূচক জরিপ বলছে, বছরের প্রথম তিনমাসের তুলনায় কবে নাগাদ পুরোনো গতি ফিরে আসবে, সে সন্দেহ আরো ঘন হয়েছে।