২০১৫ সালে হঠাৎ করেই অফিসে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরিফ। সিটি স্ক্যান রিপোর্টে ধরা পরে স্বপ্নভঙ্গকারী দুঃস্বপ্ন ব্রেন টিউমারটি। তখন থেকেই শুরু হয় আরিফ ও তার মায়ের বেঁচে থাকার যুদ্ধ।
ফরেস্ট বিভাগে চাকরিরত বাবা নুর মোহাম্মদ মন্ডল জন্মের আগেই অনাগত সন্তান ও স্ত্রীকে ফেলে চলে যায় কুষ্টিয়ায়। দ্বিতীয় স্ত্রী ও সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ভুুুুলেও কখনো প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ নেয়নি বিত্তবান পিতা। তখন থেকেই অনেক কষ্ট করে মাধ্যমিক পাশ করান মা আয়েশা। ভেবেছিলেন ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সব কষ্ট দূর করে দিবে। কিন্তু এখন মা ও ছেলের প্রতিটি রাতই কাটছে নির্ঘুম ও দুশ্চিন্তায়। একটু একটু করে সংসারের সব কিছু বিক্রি করে বাচাঁনোর চেষ্টা করছেন একমাত্র বুকের মানিককে।
এখন আর অবশিষ্ট কিছুই নেই এই অসহায় মায়ের কাছে, যার বিনিময়ে ছেলের কষ্ট নিবারণের ওষুধ কিনবেন বা চিকিৎসা করাবেন বেকার মা আয়েশা। অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে অনাহারে কোনমতে দিন যাচ্ছে মায়ের। তাই সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অপরিচিত মানুষগুলোই এখন একমাত্র ভরসা। হাজার জনের সহযোগিতায় ছেলেকে বাঁচানোর আকুল মিনতি সর্বহারা মায়ের।
ব্রেইনের একদম মাঝখানে বেড়ে ওঠা টিউমারটি নিয়ে কোন আশার আলো দেখছেন না মা। ডাক্তার বলছেন, টিউমারটি ক্যান্সারে পরিণত না হলে অপারেশনের মাধ্যমে তা অপসারণ করা সম্ভব। তবে সেইক্ষেত্রে খরচ হবে অনেক টাকা।
অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে পাগল প্রায় মা। সকলের সহযোগিতা নিয়ে ফিরে পেতে চান একমাত্র সন্তানকে। সামান্য ওষুধটুকু যোগাড় করা যেখানে অসম্ভব, সেখানে অপারেশনের লক্ষ লক্ষ টাকা যোগানো যেন স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আশায় এলাকার লোকজন।
আরিফকে সহযোগিতা করতে তার মায়ের দেয়া বিকাশ নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ নিঃস্ব মা আয়েশার। সকলের সহযোগিতায় বাঁচতে চান একমাত্র অবলম্বনকে নিয়ে।
বিকাশ নাম্বার: ০১৭২৮৮১৮২০৩
মো. আরিফ হোসেনের মা আয়েশা আক্তার